পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঔষধ
পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা একটি মারাত্মক রোগ। এই রোগ সাধারণত বিভিন্ন প্রকার ছত্রাক ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস এর কারণে হয়ে থাকে। এই রোগ সাধারণত দূষিত ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানি এবং বিভিন্ন প্রকার অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ থেকে হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত শরীরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করার কারণে পায়ের যত্ন না নেওয়ার কারণে এইসব রোগ হয়ে থাকে। নিচে পায়ের বিভিন্ন প্রকার ঘরোয়া এবং বিভিন্ন প্রকার চিকিৎসা ঔষধ সমূহের নাম দেওয়া হলো ।
পায়ের আঙ্গুলে ঘা সেটা মূলত ইনফেকশন জাতীয় ঘা ।এই ঘা দীর্ঘদিন থাকলে
ইনফেকশন ছড়িয়ে যায়। এর জন্য সঠিকভাবে ঔষধ ব্যবহার করা জরুরী। নিচে ঘা এর
কার্যকরী বিভিন্ন প্রকার ওষুধের নাম দেওয়া হলো।
পেজ সূচিপত্রঃপায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঔষধ
পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ইনফেকশন মুক্তর ঔষধ
ক্যাপসোল হোল ফ্লুক্লাক্সিন ৫০০: সকালে এবং রাতে একটি করে ঔষধ খেতে হবে।
ক্লোটিমাজল ক্রিম:ব্যবহার দিনে তিনবার খায় এর পাশে শুকনা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে লাগাতে হবে
সিলেক্ট প্লাস শ্যাম্পু: সিলেক্ট প্লাস শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে
প্রথমে ধুয়ে নিতে হবে তারপর কমেটিজল ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে।
কিটোকেনেজল ক্রিম: এই ক্রিমটি ঘা ভালো করে পরিষ্কার করে দিনে দুই থেকে
তিনবার ব্যবহার করতে হবে।
পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা সারানো আরো ঔষধের নাম
জীবাণু থেকে বাঁচার জন্য আরো বিভিন্ন প্রকার ওষুধের নাম নিচে দেওয়া হল।
- ফিনটেক্স ক্রিম
- মাইক্রোফোন ক্রিম
- নিউটিজিনা সাবান
- টেবিনা ক্রিম
- সেফ-৩ ২০০
- সেভ থ্রি ৪০০
- ফুলুগাল ১৫০
- আরসেট ১০
- সেফরাট ৫০০
- টেলফিন১০
- ফুসিটপ এইচসি
- কিউপেট ক্রিম
কিছু ঘরোয়া উপায় পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা সারানো
লবণ পানির ব্যবহার
নিমপাতা ও তুলসী পাতার ব্যবহার
রক্তচিতা ও লাল পাতার ব্যবহার
যেগুলো ব্যবহার করা ক্ষতিকর
- অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না।
- ভেজা জুতো বেশি সময় ব্যবহার করা যাবে না।
- নখ দিয়ে চুলকানো যাবে না।
- অপরিষ্কার জুতো মোজা ব্যবহার করা যাবে না।
- একই কাপড় বা গামছা বিভিন্ন লোক ব্যবহার করা যাবে না।
- ঘরের বিছানা চাদর যৌথভাবে ব্যবহার করা যাবে না।
- আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড় জামা কাপড় নিয়মিত গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
- আক্রান্ত ব্যক্তিকে সবসময় লোকসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে।
- পায়ে মোজা ব্যবহার করা যাবে না।
- কেটস বা সু জাতীয় জুতা পরা যাবেনা।
খাবারের বিধি নিষেধ
- গরুর মাংস
- হাঁসের মাংস
- হাঁসের ডিম
- ইলিশ মাছ
- চিংড়ি মাছ
- বেগুন
- কচু শাক
- পুঁইশাক
পায়ের ঘা হবার কারণ
- রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত: রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটলে পায়ে ক্ষত হয় ক্ষত থেকে ভাইয়ের সৃষ্টি হয়।
- ডাইবেটিস: রক্তে অতিরিক্ত চিনির মাত্রা থাকলে পায়ে ঘায়ের সৃষ্টি হয়।
- অপরিষ্কার পরিবেশ: অপরিষ্কার পরিবেশে চলাফেরা করলে সৃষ্টি হয়।
- পায়ে ক্ষত: পায়ে ক্ষত থাকলে ক্ষত থেকে ঘা এর সৃষ্টি হয়।
- রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম: রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম থাকলে পায়ে ঘা এর সৃষ্টি হয়।
- বিভিন্ন প্রকার সংক্রামক রোগ থেকে পায়ের ঘা এর সৃষ্টি হয়।
তানহা এম জেড নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url